১৮ ফেব্রæয়ারী, ২০২৩, চট্টগ্রাম:
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসসি)-র উদ্যোগে আজ ১৮ ফেব্রæয়ারী রোজ শনিবার সিএসই- র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ (এএমএল এন্ড সিএফটি) বিষয়ক একদিন ব্যাপী একটি প্রশ্ক্ষিণ কর্মশালার আয়োজন করা হয় । সিএসই-র এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট সকল স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ডঃ রুমানা ইসলাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএসইসি-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইডি) জনাব মীর মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সিএসই-র পরিচালক জনাব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এফসিএমএ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মো. গোলাম ফারুক, চীফ রেগুলেটরী অফিসার (সিআরও) জনাব মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সিএফএ । এছাড়াও সিএসই এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন ।
সিএসই-র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) জনাব ফারুক তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন-
"মানি লন্ডারিং প্রায়ই শুধুমাত্র ব্যাংকের সাথে যুক্ত বলে মনে করা হয়; কিন্তু বাস্তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠন, পুজিঁবাজার মধ্যস্থতাকারী সহ ব্যাংক এবং ননব্যাংকিং উভয় ধরনরে প্রতষ্ঠানে অর্থের লেনেদনের প্র্রক্রয়িার সাথে সংশ্লষ্টি এই সংবদেনশীল মানি লন্ডারিং র্কাযক্রম । শেয়াবাজারের মাধ্যমে র্অথ পাচার আর্থিক অপরাধীদরে মধ্যে একটি জনপ্রিয় প্রক্রিয়া । শেয়াবাজার সব সময়ই পাচারকারীদরে র্টার্গেটে থাকে, এ কারনইে পুজিঁবাজারের মধ্যস্থতাকারীদরে সব সময়ই ভাল ব্যবসার নীতি অনুশীলন করা উচতি । এক্ষত্রে প্রথমইে যে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া উচতি সেটি হলো (know your customers/clients) বা "KYC" বা 'আপনার ক্লায়েন্টকে জানুন । একটি ক্লায়েন্ট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা একটি কার্যকরী পদ্ধতি, যার দ্বারা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের কর্মকর্তরা চিনতে সক্ষম হবেন অর্থ পাচারের প্রচেষ্টাকে বা কারা জড়িত তাদেরকে।"
অনুষ্ঠানে বিএসইসি-র কমিশনার ডঃ রুমানা ইসলাম মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যের অনুষ্ঠানে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক আইনের উপর তার উপস্থাপনা প্রদান করেন । তিনি বলেন, ক্যাপটিাল মার্কেট বিষয়ক মানলিন্ডারিং ব্যাপারটিকে ভালভাবে জানতে হবে এবং সব সময় সচতেন থাকতে হবে । কোনো ধরনের অস্বাভাবকি লেনদেন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে র্সতক থাকতে হবে। আপনি একজন কেমেলকো (CAMLCO) হিসেবে ক্যাপিটাল মার্কেট মানি লন্ডারিং-এর বিষয়গুলি ভালোভাবে জানবেন এবং যে কোন ধরনের অস্বাভিক লেনদেন এর ক্ষেত্রে সাথে সাথে বিএসইসিকে রিপোর্ট করবেন । অনেক ধরনের নিয়ম-কানুন আমাদের রয়েছে, তবে দুটো মূল আইন – বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ এক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী পুজিঁবাজারের অপরাধগুলো হলো- মার্কেট ম্যানিপুলেশন এবং ইনসাইডার ট্রেডিং । এই দুটি মূল অপরাধ ছাড়াও অনেক ছোট বড় অপরাধ রয়েছে ।
যে কোনো সন্দেহমূলক লেনদেন কিন্তু মানি লন্ডারিং নয়। মানি লন্ডারিং এর যে সংজ্ঞা আছে সে অনুযায়ী যদি কোন অপরাধ বা লেনদেন সংঘটিত হয় তখনই তাকে মানি লন্ডারিং আইনে আওতাভুক্ত করা যাবে। এমন কোনো লেনদেন যা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে , হতে পারে একটি বড় সংখ্যার শেয়ার হঠাৎ করে আস্বাভাবিক মূল্যে হাত-বদল হচ্ছে বা কয়েকজনের মধ্যে নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে বা কোন স্বচ্ছ উৎসবিহীন লেনদেন হচ্ছে তবে দ্রুত সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন । এছাড়াও যখন কেনো নতুন ক্লায়েন্ট নিয়ে কাজ করবেন তথনও আপনারা সর্তক থাকবেন।
কমিশনের এক্সকিউিটভি ডিরেক্টর জনাব মোশাররফ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রনীত বিএফআইইউ সার্কুলার, সিএমআই সিস্টেম বিষয়ে তার উপস্থাপনা প্রদান করেন । এছাড়াও সুবিধাভোগী ব্যবসা, মূল সংবেদনশীল তথ্য ও সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিষয়ে কমিশনের এএেএল এন্ড সিএফটি উইং এর অন্যান্য কর্মকর্তারা আলোচনা করেন ।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে সিএসই-র চীফ রেগুলেটরী অফিসার জনাব মেহেদী হাসান, সিএফএ উপস্থতি সকলকে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লষ্টি সকল নিয়মাবলী মেনে পুজিঁবাজারের ব্যবসা পরচিালনা করার জন্য অনুরোধ জানান । তিনি প্রশক্ষিণে উপস্থতি থাকার জন্য সকলকে আন্তরকি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন । প্রশক্ষিণ র্কমশালা শেষে উপস্থতি সকলকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
বিস্তারিত জানতে
তানিয়া
সিএসই-পিএন্ডসি আার
ফোন: ০১৭৬০৭৪৫৭৩৬
©2024 Chittagong Stock Exchange PLC. All rights reserved.